সন্দ্বীপে এমপি’ মিতার দুর্নীতি ও কমিশন বাণিজ্য
- আপডেট সময় : ০৩:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
- / ১৬৯৯ বার পড়া হয়েছে
বর্তমান সরকারের আমলে চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ-সন্দ্বীপে অসংখ্য বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি আর কমিশন বাণিজ্যের কারণে, শত শত কোটি টাকার এসব প্রকল্পের সুফল পাচ্ছে না দ্বীপের বাসিন্দারা। ভুক্তোভোগীদের অভিযোগ, এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা ও তার ঘনিষ্ঠরাই অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত। একারণে প্রতিবাদের সাহস পায় না কেউ। তবে এমপির দাবি, রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ তাকে বিতর্কিত করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
জাতীয় গ্রীডের বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে সন্দ্বীপ–এমন আশা ১০ বছর আগেও ছিলো না সাগরের বুকে জেগে ওঠা দ্বীপের বাসিন্দাদের। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নেয়া বিদ্যুতে আলোকিত বিচ্ছিন্ন দ্বীপটি। কিন্তু ঘুষ ছাড়া সংযোগ পান না স্থানীয়রা। বিএনপি আমলের বিতর্কিত খাম্বা বাণিজ্য দেদারচে চলছে সন্দ্বীপে।
মুল ভুখন্ডের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটের সন্দ্বীপ প্রান্তে একটি কার্যকর জেটির দীর্ঘদিনের আকুতি দ্বীপবাসীর। শত কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি জেটি নির্মিত হলেও কাটেনি যাতায়াতের দুর্ভোগ। কারণ কমিশন বাণিজ্যকে প্রধান্য দিতে গিয়ে, কার্যকর ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিই হয়নি প্রকল্পটিতে। তাই জেটি নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই চর জেগেছে সামনে।
তৃণমুলের জন প্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতারাও ক্ষুব্ধ অপরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নে। স্থানীয় এমপি মাহফুজুর রহমানের স্বেচ্ছাচারিতাকেই দুষছেন তারা।
কুমিরা-প্তছড়া রুটে বিআইডব্লিউটিসির একটি স্টিমার চলাচল করে। কিন্তু দিনে মাত্র একবার যাওয়া আসা করে স্টীমারটি। বাকি সময় স্পীডবোটের ওপর নির্ভরশীল দ্বীপবাসী। মাত্র ১৮ কিলোমিটার নৌপথে ভাড়া নেয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৩৮০ টাকা। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় এমপি ও তার ঘনিষ্টজনরাই দ্বীপবাসীকে জিম্মি করে দৈনিক ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই ঘাট থেকে।
তবে এমপি মাহফুজুর রহমান মিতার দাবি, দ্বীপবাসীর কল্যানেই নেয়া হয়েছে সব প্রকল্প। তাকে বিতর্কিত করতে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে।
হিন্দুদের সম্পত্তি দখলের ব্যাপারেও এমপিও তার সহযোগীদের অভিযোগ রয়েছে।এলাকাছাড়া ক্ষতিগ্রস্তরা দুদকসহ প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে সৃনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন।