সরকার নির্ধারিত দামে আসন্ন কোরবানির পশুর চামড়া কেনা নিয়ে সংশয়
- আপডেট সময় : ০২:০০:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১
- / ১৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
সরকার নির্ধারিত দামে আসন্ন কোরবানির পশুর চামড়া কেনা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ট্যানারি মালিকরা বলছেন, এই দামে চামড়া কিনতে হলে, আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকা চ্যালেঞ্জ হয়ে পরবে। আর আড়তদাররা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা বেধে দেয়া মূল্যে চামড়া কিনতে পারলে, তাদের সমস্যা নেই। তবে ট্যানারি মালিকদের কাছেও বকেয়া টাকা পাওনা নিয়েও সংশয়ে তারা।
কয়েক বছর ধরে অস্বাভাবিক কম দামে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। লাখ টাকা দামের গরুর চামড়াও বিক্রি হয়েছে নামমাত্র টাকায়। লাখ লাখ টাকার চামড়া পচে নষ্ট হওয়ার ঘটনাও আছে।
গেলো বছরের চেয়ে এবার গরুর চামড়ায় প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা বাড়িয়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা আর ছাগলের চামড়ায় ২ টাকা বেড়ে প্রতি বর্গফুট ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আড়তদাররা বলছেন, ট্যানারি মালিকদের কাছেও বকেয়া পাওনা আটকে রয়েছে অনেক ব্যবসায়ীর।এ কারণে নতুন করে চামড়া কেনা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।
তবে তারা বলছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে ট্যানারি মালিকরা পশুর চামড়া কিনতে পারলে, তাদের সমস্যা নেই।
কোরবানির ঈদের পর কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় সরকারি সিদ্ধান্ত মতে গার্মেন্টসহ সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে।
ফলে চামড়া সংরক্ষণ ও পরিবহন নিয়েও এক রকম শংকার মধ্যে আছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত মূল্যে পশুর চামড়া ক্রয় করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন, ট্যানারি মালিকরা ।
যে সব ট্যানারির মালিক দেউলিয়া হয়ে গেছেন, তারাই কেবল বকেয়া পরিশোধ করতে পারেননি বলে জানান ট্যানারি মালিকরা।