সরকার নির্ধারিত দামে বাজারে মিলছে না কোন পণ্য
- আপডেট সময় : ০৭:৪৩:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৭৮৪ বার পড়া হয়েছে
সরকার নির্ধারিত দামে বাজারে মিলছে না কোন পণ্য। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে তারা পাইকারীতেও কিনতে পারেন না। প্রতি কেজি আলু এখনো ৫০ টাকা এবং পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন সবজির পাশাপাশি আবারও বাড়ছে কাঁচামরিচের দাম। তবে কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগীর দাম। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজার ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে খুচরা বাজারে দাম কমবে না।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ যখন অসহায়, তখন সরকারের পক্ষ থেকে মূল্য নির্ধারণের পরও মিলছে না সুফল। আলু, পেঁয়াজ, ডিম-সহ সবজির বাজারে বিরাজ করছে অস্থিরতা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দাবী করলেও সব খাদ্যপণ্যেই বিপুল ঘাটতির কারণে চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্যহীনতার ফলেই সংকট কাটছে না।
সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না কোন পণ্যই। আলুর কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, আর ডিমের ডজন ১৫০ টাকা করে নিচ্ছেন দোকানীরা। খুচরা বিক্রেতারা এর জন্য দুষলেন পাইকার ও মজুতদারদের। ক্রেতারা বলছেন, আয় না বাড়লেও তাদের ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে বাজারে এসে চাহিদার তুলনায় কম পণ্য কিনে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে, চাল-ডাল, আটা-ময়দা উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল থাকলেও অস্থির হয়ে পড়েছে শীতকালীন সবজির বাজার। ১০০ টাকার গণ্ডি পেরিয়েছে গাজর, বেগুন, টমেটো। আর আমদানির পরও সপ্তাহের ব্যবধানে ১শ’ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে চাহিদা ও উৎপাদনের ফারাক কমিয়ে সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।