সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যর্থ খুলনা রুপসা বিদ্যুৎকেন্দ্র
- আপডেট সময় : ১১:১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ২০০৪ বার পড়া হয়েছে
দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ না থাকলেও তৈরি করা হয়েছে গ্যাস নিভর্র বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তার এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এখন জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’হয়ে দাঁড়িয়েছে। আদৌ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে আসতে পারবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। আর বিদ্যুৎ উৎপাদন না হলেও ঋণের অর্থ পরিশোধের কোন ছাড় মিলবে না মন্ত্রণালয় থেকে।
২০১৮ সালে খুলনার খালিশপুরে’রুপসা ৮’শ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল’বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ শুরু হয়। এই প্রকল্পে এডিবির,আইইডিবি ও জেএফপিআর এর ঋণ রয়েছে ৫ হাজার ৯’শ ৯৮ কোটি টাকা।আর সরকার রাজস্ব তহবিল থেকে বিনিয়োগ করেছে ২ হাজার ৪’শ ৬০ কোটি মোট ব্যয় ধরা হয় প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির অধীনে প্রকল্পটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার কথা।পরে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ে।এখন পর্যন্ত ভৌত কাজ ৮২ ভাগ শেষ।চলতিবছরই বাকি কাজ শেষ হবে।কিন্তু গ্যাসের অভাবে বাণিজ্যিক উৎপাদন পিছিয়েছে ২০২৭ পর্যন্ত।
খুলনায় গ্যস সরবরাহ না থাকায় বিপুল অংকের অর্থ বিনিয়োগ করা এই প্রকল্পের উৎপাদনে আসা প্রায় অসম্ভব। তাই প্রকল্প পরিদর্শনে এসে এই প্রকল্পের অনুমোদান,অনিয়ম ও দুনীতিতে ক্ষুব্ধ বর্তমান জ্বালানী উপদেষ্টা।
বিগত ১৫ বছরে এরকম অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে দেশে। যার ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে আওয়ামীলীগ সরকার ব্যায় করেছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা।
খুলনা সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড বলছে,খুলনায় গ্যাস সরবরাহ নেই।কবে আসবে গ্যাস তাও জানান নেই।তবে এখনো তাদের গ্যাস পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলমান বলে জানালেন প্রকৌ. মোঃ সালাহউদ্দিন।
টিআইবি বলছে,সমন্বয় ছাড়া কোন বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়,আর এই বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো করা হয়েছে দুর্নীতি ও অর্থলোপাট করার জন্য।
রুপসা বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন পিছিয়ে যাওয়ায়,এডিবির ঋণের কিস্তি পরিশোধ ৩ বছর পেছানোর আবেদন করা হয়েছে।
রকিবুল ইসলাম মতি, এসএটিভি, খুলনা।