সারাদেশে একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
- আপডেট সময় : ১২:৫৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১৭৫৫ বার পড়া হয়েছে
সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে।
গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় ৫২’র মহান ভাষা শহীদদের স্মরণ করছে চট্টগ্রামবাসী। একুশের প্রথম প্রহরে মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে নিউমার্কেট ও জুবিলি রোড এলাকা। রাত ১২টা ১ মিনিটে মিউনিসিপ্যাল স্কুল ও কলেজ মাঠের অস্থায়ী শহীদ মিনারের সামনে সশস্ত্র অভিবাদন জানায় সিএমপির একটি চৌকস দল। এরপর প্রথমে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রামের মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী। এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় শহীদ বেদী।
ময়মনসিংহে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে নগরীর টাউন হল চত্বরের শহীদ মিনারে প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ময়মনসিংহ সদরের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত। পরে একে একে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
একুশের প্রথম প্রহরে বরিশালের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। ১২টা ১মিনিটে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার। এছাড়া রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে শহীদ মিনারে।
একুশের প্রথম প্রহরে রংপুরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন রংপুরের সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান, বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিআইজি আব্দুল বাতেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
খুলনার শহীদ হাদিস পার্ক শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা। রাত ১২টা ১ মিনিটে হাদিস পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খুলনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও মহানগর কমান্ডসহ অনেকে।
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের বাধা দেয় পৌর মেয়র। রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা অনুষ্ঠান বর্জন করেন। সাংবাদিক নেতারা জানান, শহীদ বেদীতে ফুল দিতে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার সময় পৌরমেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর সাংবাদিকদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এসময় অনান্য সাংবাদিকদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন তিনি।