সিএনজি স্টেশন সাত ঘণ্টা বন্ধ রাখার উদ্যোগ
- আপডেট সময় : ০৭:৫৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২
- / ১৭৭৭ বার পড়া হয়েছে
বর্তমানে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। আরো দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে মোট সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকবে স্টেশনগুলো। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার সিএনজি স্টেশন মালিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে পেট্রোবাংলা। বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে দেশের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো আরো দুই ঘণ্টা বেশি সময় বন্ধ রাখার উদ্যোগ নিচ্ছে পেট্রোবাংলা।
সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর গণমাধ্যমে জানান, ‘গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় পেট্রোবাংলা আরো দুই ঘণ্টা সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ রাখতে চায়। যদিও আমরা তাদের প্রস্তাবে সম্মতি দিইনি। কারণ বর্তমানে রেশনিংয়ের আওতায় দিনে পাঁচ ঘণ্টা স্টেশনগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ’ তিনি বলেন, ‘মোট সরবরাহ গ্যাসের মাত্র ৩ শতাংশ সিএনজি স্টেশনগুলো ব্যবহার করে। যা সর্বোচ্চ দাম দেওয়া হয়। এই অল্প গ্যাসে রেশনিং বাড়িয়ে খুব বেশি লাভ হবে না। বরং ভোগান্তি বাড়বে গাড়িচালকদের এবং চাপ পড়বে জ্বালানি তেলের ওপর।
আরো ৩-৭ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকছে দেশের ৮০ শতাংশ সিএনজি স্টেশন লোড শেডিংয়ের কারণে। এই মুহূর্তে সিএনজি স্টেশনের বন্ধের সময়সীমা আরো দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে বেকায়দায় পড়ে যাবে স্টেশন মালিকরা। ভোগান্তিতে পড়বেন সিএনজিচালিত গাড়ির চালকরা।
স্টেশনগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ লাইন হচ্ছে, যেখানে গ্যাসের চাপ (প্রেশার) ১৫ পিএসআই থাকার কথা, সেখানে আমরা পাচ্ছি মাত্র ২-৪ পিএসআই গ্যাস। গ্যাসের প্রেসার কম থাকার কারণে গাড়িতে গ্যাস নিতে সময় বেশি লাগছে .. জানালেন ফারহান নূর।
পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, ‘আমরা সিএনজি স্টেশন মালিকদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। এখনো চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে সংকট মোকাবেলায় সবাই এগিয়ে না এলে আমাদের একার পক্ষে এটা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। দুই ঘণ্টা বিকেলে না রাতে বাড়ানো হবে এ বিষয়ে তিনি বলেন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কোন সময়ে করলে বিদ্যুতে গ্যাসের সরবরাহ আর একটু বৃদ্ধি করা যাবে, সেটাই দেখা হবে।