সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসির আদেশ
- আপডেট সময় : ০৭:৩১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৫৮০ বার পড়া হয়েছে
বহুল আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আর, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মাসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, এপিবিএন এর সদস্য এসআই শাহজাহান, কনস্টেবল রাজিবসহ ৭ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায়ে আংশিক খুশি বাদী পক্ষের আইনজীবী। তবে, উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা।
বহুল আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘোষনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দুপুরের পর ১৫ আসামীকে জেলা কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
জনাকীর্ণ আদালতে মামলার রায় ঘোষনা করেন বিচারক। রায়ে ওসি প্রদীপ ও ইন্সপেক্টর লিয়াকতের ফাঁসির আদেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৭ জন পুলিশ সদস্যকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়।
তবে, রায়ে পুরোপুরি খুশি নয় বাদীপক্ষের প্রধান আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা। আর, মামলার বাদী সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস জানান, রায় কার্যকর হলেই পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবেন তিনি।
মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, টেকনাফের মারিশবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
এছাড়া, খালাস পেয়েছেন এপিবিএন এর এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মো: রাজীব, মো: আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, লিটন মিয়া ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। এতে খুশি আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
আসামীদের সামনেই ৩০০ পৃষ্ঠার রায় পড়ে শোনানো হয়। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।