সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক মরণফাঁদে পরিণত
- আপডেট সময় : ০৩:২৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর শত শত নারী-পুরুষের হতাহতের ঘটনায়, সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটা দুর্ঘটনায় ভাবিয়ে তুলেছে যাত্রীসহ সচেতন মহলকে। বেপরোয়া গতি, বিপদজনক ওভারটেকিং, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতার পাশাপাশি মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা এবং অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহনের বেপরোয়া চলাচলের কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা। কর্তৃপক্ষ বলছে, দুর্ঘটনা রোধে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
সিলেটে প্রায় প্রতিদিনই সড়কে ঝড়ছে তরতাজা প্রাণ। সড়ক দুর্ঘটনা বাড়লেও, রোধে চোখে পড়ার মত কোন প্রদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। ফলে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য মতে দেড় বছরে ১৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নারী,পুরুষ, শিশুসহ ২৭০ জন নিহত ও ৪০৮ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সমিতি ১৫টি বিষয় চিহ্নিত করেছে। এরমধ্যে বেপরোয়া গতি, বিপদজনক ওভারটেকিং, , ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা, অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল, রাস্তার পাশে হাট-বাজার ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো অন্যতম।
সড়ক পরিবহনে কর্মরত শ্রমিকরা একের পর এক দর্ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, এজন্য কেবল চালকদের ওপর দায় চাপানো ঠিক নয়। অন্য কারণও খতিয়ে দেখা দরকার।
আর পরিবহন শ্রমিক নেতা দুষছেন সড়কের দায়িত্বে থাকা প্রশাসনকে। তাদের অবহেলায় দুর্ঘটনা বাড়ছে।
হাইওয়ে পুলিশের দাবি, দিনে নজরদারির কারণে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে রাতে টহল সীমিত থাকায়, চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
চালকরা মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে দাবি গবেষকের। ড্রপটেস্ট করে চালকদের চাকুরি দেয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।
কর্তৃপক্ষ তৎপর হবে, সড়কে কমবে লাশের মিছিল এমনটা প্রত্যাশা যাত্রীদের।