সিলেট মহানগরে রিক্সার স্থলে চলছে নৌকা, অবর্ণনীয় দুর্ভোগে লাখো মানুষ
- আপডেট সময় : ০৫:৪০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মে ২০২২
- / ১৫৬০ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।অবর্ণনীয় দুর্ভোগে আছেন লাখো মানুষ। জকিগঞ্জে বাঁধ ভেঙ্গে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঢুকছে কুশিয়ারা নদীর পানি। প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৮০ গ্রাম। মহানগরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শহরজুড়ে সড়কে রিক্সার জায়গা করে নিয়েছে নৌকা। সুরমা নদীর নাব্য হ্রাস পাওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেটের অনেক জায়গায় ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সিলেটের সুরমা কুশিয়ারাসহ সব নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায়, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবণতি হয়েছে। একদিন বিরতী দিয়ে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন উপজেলায় ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। সিলেট নগরীর বাসা বাড়ি এবং উপজেলার এক একটি গ্রাম যেনো দ্বীপে পরিণত হয়েছে।
বানভাসি মানুষের মাঝে সরকার ত্রাণ বিতরণ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ঘর-বাড়ি ছেড়ে আসা মানুষের খোঁজ নিচ্ছেন না কেউ এমন অভিযোগ বানভাসি মানুষের।
সিলেটে সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয় ও আসামে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলের মাত্রা বেড়েছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের সবক’টিই বন্যা কবলিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে স্মশানঘাটও। সিলেট সদর ও দক্ষিন সুরমার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
সিটি মেয়র মহানগরের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বলছেন, এটি শহরের জলাবদ্ধতা নয়, বন্যা। সুরমা নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
কানাইঘাটে সুরমার পানি কিছুটা কমলেও অমলশিদে কুশিয়ারা ও সিলেট শহরের পাশে সুরমার পানি আরো বেড়েছে। নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নতুন করে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিভাগের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ।
এমন বাস্তবতায় সিলেটের বন্যা দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।