সীতাকুণ্ডের তুলার গুদামে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে, তবে পুরোপুরি নেভেনি
- আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
- / ১৬০৫ বার পড়া হয়েছে
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি বিজিবি, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ১৯ টি ইউনিটের ২০ ঘন্টা চেষ্টার পর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের তুলার গুদামে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি নেভেনি এখনো। ঘটনাস্থলের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে কুন্ডুলি পাকিয়ে ধোঁয়া উঠছে মাঝেমধ্যেই। আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন না হলেও টিনের সেডে চলমন ওয়েল্ডিংয়ের স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছে বিজিবি। যা পুরোপুরি নিভতে আজ সারাদিন লাগতে পারে। আর আগুন নেভাতে যোগ দেয়া অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় যে ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যাবস্থা ও পানির উৎস থাকার কথা তার কিছুই ছিল না এখানে। তাই দিন দিন ঝুকিপুর্ণ হয়ে উঠছে গোটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা এলাকার ইউনিটেক্স টেক্সটাইলের তুলার গুদামে লাগা আগুনের চিত্র এটি। শনিবার সকালে লাগা আগুন ২৪ ঘন্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি পুরোপুরি।
২০ হাজার মেট্রিকটন তুলার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই গুদামে শনিবার মজুদ ছিল ২৭ হাজার টন। পাট ও তুলার মতো উচ্চ দাহ্যক্ষমতা সম্পন্ন পণ্যের গুদামে বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকার নিয়ম না থাকলেও এই গুদামে ছিল। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সেডের ছাদে অরক্ষিতভাবে করা হচ্ছিল ওয়েল্ডিংয়ের কাজ। এর থেকেই আগুনের সুত্রপাত।
শনিবার সকালে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ারসার্ভিসের ৯ টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু সময় যত যায় আগুনের তীব্রতা ততই বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর জেলা প্রশাসনের অনুরোধে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয় বিজিবি, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর ১০ টি বিশেষজ্ঞ দল। এরপর শুরু হয় আগুন নেভানোর যৌথ অভিযান।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, বড় এই তুলার গুদামের পাশে বেশ কয়েকটি কন্টেইনার ডিপো রয়েছে। কিন্তু আগুন নির্বাপনের সুবিধা কিংবা পানির যোগান ছিলো না কোথাও।
অভিযানের সমন্ময়ক সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা জানান, সীতাকুন্ডের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকাটি দিন দিন ঝুকিপুর্ণ হয়ে উঠছে। এসব ঝুকি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনকে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছেন তারা।
শুরুতে এই স্থাপনাটি একটি টেক্সটাইল মিল ছিল। এরপর কিছুদিন ব্যাকারী হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে। সবশেষ ইউনিটেক্স নামের একটি টেক্সটাইল কোম্পানী ভাড়াই নিয়ে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলো।