সেবা সংস্থা ও ঠিকাদারের দুর্নীতি রাজধানীর উন্নয়নকে দুর্ভোগে পরিনত করেছে
- আপডেট সময় : ০২:২১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
সেবা সংস্থা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির কারণে রাজধানী ঢাকার উন্নয়ন কাজ আশীর্বাদের বদলে পরিণত হচ্ছে জনদুর্ভোগে। এমনটাই মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। তবে অক্টোবরের মধ্যেই সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় আনার কথা জানালেন দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আর জনদুর্ভোগ লাঘবে খনন কাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা জানিয়ে খোঁড়া রাস্তা সংস্কারের দায়িত্বও চাইলেন ওয়াসার এমডি।
“সাবধান! সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত। আদেশক্রমে- ঢাকা উত্তর বা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন অথবা ঢাকা ওয়াসা। এমন সাইনবোর্ড লাগিয়ে মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে চলে কথিত উন্নয়নের নামে খোঁড়াখুড়ির কাজ। নিয়ম রয়েছে- জনদুর্ভোগ হয় এমন সময়ে সড়ক খোঁড়া যাবে না। আর সংস্কার কাজ শেষ করতে হবে ২৮ দিনের মধ্যে। প্রধান সড়কগুলোতে সরকারি ছুটির দিন ও রাতের বেলায় কাজ করতে হবে। সড়ক খোঁড়া মাটি রাস্তার দু’ধারে স্তূপ করে না রেখে তা সাথে সাথে সরিয়ে নিয়ে বালু দিয়ে সব ভর্তি করতে হবে। কিন্তু ঠিকাদাররা এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করায় ভোগান্তিতে পড়ছে কাজের অর্থ যোগানদাতা– নাগরিকরা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির বেশিরভাগ এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নতির নামে অলিগলির রাস্তা খুঁড়ে চলছে কথিত উন্নয়ন কাজ। দীর্ঘদিন ধরে এসব কাজ চলায় চরম ভোগান্তিতে এলাকার বাসিন্দারা।
ঢাকার পূর্ব বনশ্রী এলাকার বিভিন্ন ব্লকের অলিগলি ও প্রধান রাস্তা সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। অনেক রাস্তার কাজই অর্ধেক শেষ করে ফেলে রেখেছে ঠিকাদার। স্থানীয়রা বলছেন, কি কারণে এসব রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে না, তা সিটি করপোরেশনও খোলাসা করে না। তবে এতে বিপাকে পড়েছেন এলাকার করদাতা নাগরিক ও দোকানদাররা।
নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, সেবা সংস্থাগুলো চলে দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী আর ঠিকাদারদের যোগসাজশে। নাগরিক সুবিধার কথা বলা হলেও নগরের আসল মালিক নাগরিকরাই এখানে সবচে’ উপেক্ষিত।
রাজধানীতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন এলাকায় পুরনো পাইপ বদলের কাজ চলছে জানিয়ে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বললেন, রাস্তা খোড়াখুড়ির আগেই মেরামতের পুরো অর্থ তারা সিটি কর্পোরেশনকে জমা দেয়। কিন্তু নগর কর্তৃপক্ষ সময়মতো কাজ না করায় বদনাম হয় ওয়াসার। তাই খোঁড়া রাস্তা এখন মেরামতের কাজও করতে চায় ওয়াসা।
আগামী অক্টোবরের মধ্যেই সেবা সংস্থাগুলোর কাজে সমন্বয় আনা হবে বলে জানালেন দক্ষিণ সিটির মেয়র।তবে সব উন্নয়নের অর্থ যোগানদাতা- নগরবাসীর একটাই প্রশ্ন– কবে তারা কিভাবে এই ভোগান্তি আর দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন?