জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ
- আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০
- / ১৫২৪ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বাজেট উত্থাপন করেন। এর আগে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয় এ বাজেট। এ বাজেটের হাত ধরেই উন্নয়নের পূর্ব-ধারায় ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী অর্থমন্ত্রী।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বাজেট দিলেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তাফা কামাল। করোনা পরিস্থিতির এই অবরুদ্ধ সময়ে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত হলো ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। নির্ধারিত সময়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে সংসদে আসেন অর্থমন্ত্রী। উপস্থাপন করেন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য মোট ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট।
বাজেটে কর বাবদ সরকারের মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। আর ঘাটতি এক লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা দেশী-বিদেশী ঋণ করে মেটানো হবে, যা হবে জিডিপির ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
ব্যক্তি পর্যায়ে আয়করের ক্ষেত্রে বার্ষিক আয়ের ন্যূনতম সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরকে কর, শুল্ক ও ভ্যাট বাবদ আয় করতে হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার পরিচালনায় রাজস্ব খাতে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা ব্যয় হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে যাবে ৫৮ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদে যাবে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী জানান, আগামী অর্থবছরের ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে দেশের মোট উৎপাদন বা জিডিপির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার। ১০ শতাংশ আয়কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে এবার। থাকছে শর্তসাপেক্ষে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগও।
করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগামী অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ও উপকারভোগীর সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। আর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতেই যাবে সিংহভাগ বরাদ্দ। গুরুত্ব পাবে বিনিয়োগ বাড়ানো ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। আর প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেটে সরকারের চলমান ৭ মেগা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ থাকছে ৩৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
নতুন অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৯৩ শতাংশই ব্যয় হবে পরিবহন, অবকাঠামো, পানিসম্পদ ও গণপূর্ত, বিদ্যুৎ এবং জনপ্রশাসনসহ ১০টি খাতে।