সয়াবিন মিল রপ্তানির সিদ্ধান্ত পোল্ট্রি শিল্পর জন্য হুমকি
- আপডেট সময় : ০৮:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
- / ১৫৮১ বার পড়া হয়েছে
সয়াবিন মিল রপ্তানিতে সরকারি সিদ্ধান্ত পোল্ট্রি শিল্পর জন্য বড় হুমকি বলে শঙ্কা জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আমদানি নির্ভর সয়াবিন মিল রপ্তানি করলে দেশের বাজারে সংকট তৈরী হবে। এতে দেশীয় ফিড মিলগুলো বন্ধ এবং পোল্ট্রি শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সয়াবিন মিল সংকট নিয়ে কোন তথ্য নেই। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সংকট হলে অনুমোদন স্থগিত করা হবে।
হাঁস-মুরগি, মাছ ও গবাদি পশুর খাদ্য তৈরির প্রধান উপাদান হচ্ছে সয়াবিন মিল। ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের হিসেবে , বছরে দেশে সয়াবিন মিলের চাহিদা ২০ লাখ টন। এর মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ আসে দেশীয় সয়াবিন তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। বাকি ২০ থেকে ৩০ শতাংশই আমদানি নির্ভর।
প্রতিবেশি ভারতে সয়াবিন মিলের সংকট থাকায় ২০২১ সালে বেশি লাভের আশায় পণ্যটি রপ্তানি শুরু করে কয়েকটি কোম্পানি । এক পর্যায়ে ফিড মিল মালিকদের আপত্তিতে একই বছরের ১৪ অক্টোবর রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
নতুন করে আবারও রপ্তানীর অনুমতিতে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন ফিড মিল মালিকরা।
পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি বলেন, মিলারদের কাছে এক থেকে দু’মাস আগে বুকিং দিয়েও সয়াবিন মিল পাওয়া যাচ্ছে না। তা রপ্তানী করা হলে দেশের পোল্ট্রি শিল্প হুমকির মুখে পড়বে।
দেশের স্বার্থ রক্ষায় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সয়াবিন মিল রপ্তানী বন্ধের দাবি জানান ফিআবের সভাপতি।
পোল্ট্রিশিল্প রক্ষার্থে রপ্তানীর উপর নিষেধোজ্ঞার পক্ষে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রী জানান, সংকট না থাকায় রপ্তানীর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আর সংকট হলে ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
দেশে সময়ের সাথে সাথে সম্প্রসারিত হতে থাকা পোল্ট্রি শিল্পের বর্তমান বিনিয়োগ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। তাই, এ শিল্পের খাদ্য তৈরীর প্রধান কাঁচামাল সয়াবিন মিল রপ্তানী বন্ধে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ মালিকরা।