হৃদরোগের চিকিৎসা বন্ধ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
- আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
- / ২৩১৫ বার পড়া হয়েছে
এনজিওগ্রাম এবং হার্টে রিং পরানোসহ হৃদরোগের সব ধরনের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গেল বুধবার এনজিওগ্রামের সবশেষ মেশিনটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। এতে ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার দরিদ্র রোগী ও তাদের স্বজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে শুধু এনজিওগ্রাম মেশিনই নয় সিটি স্ক্যানসহ অন্তত চারটি বড় মেশিন অচল পড়ে আছে অন্তত আড়াই বছর ধরে। এগুলো মেরামতে কমপক্ষে ৪০ বার চিঠি দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের। সবশেষ সিএমএসডি ও মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি জানানো হয়েছে কিন্তু কোন সুফল মেলেনি এখনো।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার তৌহিদুল ইসলাম। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধিন আছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ ইউনিটে। হার্টে দুটি রিং পরিয়েছেন। আরেকটি পড়ানোর জন্য রিং কিনে হাতে করে ঘুরছেন হাসপাতালের বারান্দায়। হঠাৎ করে মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় থমকে গেছে তৌহিদের চিকিৎসা।
এমন অসংখ্য রোগী ঘুরছেন চমেক হাসপাতালের ক্যাথ ল্যাবের সামনে। মেশিন নষ্ট হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে এনজিওগ্রাম, রিং স্থাপনের কাজসহ হৃদযন্ত্রের প্রায় সব ধরনের জটিল চিকিৎসা। এতে ক্ষোভ জানান রোগী ও তাদের স্বজনরা।
ল্যাবের চিকিৎসকরা জানান, প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ টি এনজিওগ্রাম, ৮ থেকে ১০ টি রিং স্থাপনের পাশাপাশি পার্মানেন্ট পেস মেকার ও পেরিপাইরাল এনজিগ্রামের কাজ করা হত দুটি মেশিনের ওপর ভিত্তি করে। দু বছর আগে একটি মেশিন নষ্ট হয়ে গেলে অরেকটির দিয়ে কোনমতে জোড়াতালি দিয়ে রোগী সেবা চালিয়ে আসছিলেন তারা। কিন্তু বুধবার সেটিও নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।ফুটেজ-১
সট: ডা. রিজওয়ান রায়হান, কনসালটেন্ট কার্ডিওলজি, ক্যাথল্যাব, চমেক হাসপাতাল।
চমেক পরিচালক বলছেন, শুধু এনজিওগ্রাম মেশিনই নয়। সিটি স্ক্যানসহ সিএমএসডি থেকে সরবরাহ করা বড় বড় বেশকয়েকটি মেশিনই নষ্ট হয়ে আছে কয়েকবছর ধরে। চমেকের পক্ষ থেকে বারবার তাগাদা দিলেও সাপ্লাইয়ার কেম্পানীগুলো গুরুত্ব দিচ্ছে না।ফুটেজ-৩ সাম্প্রতি বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। মাঝারি মানের একটি বেসরকারী হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করতে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হলেও এতদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাগতো মাত্র ২ হাজার টাকা। হার্টে দুটি রিং পরাতে বাইরে দুই লাখের বেশি খরচ হলেও এখানে খরচ হত এক লাখেরও কম। ফলে এই মেশিন দুটি নষ্ট হয়ে যাওয়াই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলো দরিদ্র রোগীরা।