হয়রানিমূলক সংস্থায় রূপ নিয়েছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর
- আপডেট সময় : ০৩:২০:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১৭২৭ বার পড়া হয়েছে
ঘুষ বাণিজ্য, মাসোয়ারা আদায়ের কর্মকর্তারা ব্যস্ত থাকায় ব্যবসায়ী ও শিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে হয়রাণিমূলক সংস্থা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। সংস্থাটির অসাধু কর্মকর্তারা পাঁচ তারকা হোটেলের কাছে বিভিন্ন কাগজপত্র চাওয়ার নামে মাসিক টাকা দাবি করে। না দিলে মামলা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল হোটেল এসোসিয়েশন নেতারা বলেন, ডিপার্টমেন্টাল নীতিমালা করে, ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে। এসব সংস্থা সংকোচিত করা দরকার বলে মত দেন তারা।
২০১৩ এর ২৪ এপ্রিল ভয়াবহ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর, দেশের কারখানাগুলোর নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে টপ প্রায়োরিটি হিসেবে সে বছরই ২৩ সেপ্টেম্বর কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করে সরকার।
কিন্তু, শুরু থেকেই সংস্থাটির কিছু অসাধু কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্য, মাসোহারা, অনৈতিক প্রস্তাবে দেশের বিভিন্ন কারখানার মালিকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন জেলায় সংস্থাটির কর্মকর্তারা ঘুসসহ দুদকের হাতে ধরাও পড়ে। এমন বাস্তবতায় সংস্থাটির কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ব্যবসায়ীদের মাঝে।
তবে, কারখানার চেয়ে বর্তমানে সংস্থাটির নজর বেশি ইন্টারন্যাশনাল চেইন হোটেলের দিকে। সামান্য ভুল ধরে মোটা অংকের টাকা আদায়ে এখন মরিয়া সংস্থাটির কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
হোটেল মালিকরা বলেন, দেশের অনেকগুলো সংস্থা নিয়মিত তদারকি করে। এরপর, তারকা হোটেলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কোনো সংশ্লিষ্টতার প্রয়োজন নেই।
অধিদপ্তরের হয়রানিতে দেশের পর্যটন শিল্পে ব্যাঘাত ঘটে। পাঁচ তারকা হোটেলের ক্ষেত্রে বিধান পরিবর্তনের দাবি জানান তারা।
এসএগ্রুপ অব কোম্পানীজ এবং গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেল এন্ড রিসোর্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পাচ তারকা হোটেলের বেলায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের এমন আচরন কাম্য নয়।
এসব সংস্থা জনগন ও হোটেল মালিকদের হয়রানি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার নীল নকশা বলেও মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
অভিযোগের বিষয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক নাসির উদ্দিনের বক্তব্যের জন্য দফায় দফায় যোগাযোগ করেও মেলেনি ইতিবাচক সাড়া। এমনকি, পরামর্শ অনুসারে লিখিত প্রশ্নসহ চিঠি পাঠিয়েও পাওয়া যায়নি সাক্ষাৎকার।