১১ বছর ধরে কারাগারে থাকা আসামীদের পক্ষে ২২ লাখ টাকা পরিশোধ অসম্ভব
- আপডেট সময় : ১০:১৬:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৬২৩ বার পড়া হয়েছে
বিডিআর হত্যা মামলায় মৃত্যু কিংবা যাবজ্জীবন সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে প্রতি আসামীর খরচ হবে প্রায় ২২ লাখ টাকা। ১১ বছর ধরে কারাগারে থাকা আসামীদের পক্ষে এই অর্থ পরিশোধ অসম্ভব বলছেন আসামীপক্ষের আইনজীবীরা।অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের দাবি- প্রতি আপিলে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫০ টাকার বেশি খরচ পড়বে না। তবে একারণে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে স্বীকার করলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর স্পর্শকাতর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদের।
আবার ফিরে এলো শোকাবহ সেই ২৫ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কময় দিন। পূর্ণ হলো পিলখানা বিদ্রোহ আর হত্যাযজ্ঞের ১১ বছর। ২০০৯ সালের এই দিনে তৎকালীন বিডিআর জওয়ানদের একটি অংশের সশস্ত্র বিদ্রোহকালে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। নৃশংস এই ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো জাতি।
ওই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে ফাঁসি, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় বিচারিক আদালত। ফৌজদারি বিচার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী আসামীর এই মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়টিও তৈরী করে নতুন ইতিহাস। ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের এই রায়টি নিয়ে তৈরী হয় নতুন বিড়ম্বনা। আপিলের খরচ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন উভয় পক্ষের আইনজীবীরা।
খরচ-কেন্দ্রিক এই সংকট নিরসনে প্রধান বিচারপতির সাহায্য চাওয়া হবে বলেও জানান মাহবুবে আলম। স্পর্শকাতর এই মামলার নিষ্পত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের দ্রুত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সাবেক এই আইনমন্ত্রী। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণা হয়। চলতি বছর ৮ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে হাইকোর্ট। রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের বিধান থাকলেও এই মামলার ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন হবে বলে মনে করেন আইনজীবীরা।