১২ মাসই ডুবে থাকে রাজধানীর পূর্ব জুরাইন মুরাদপুর মেডিকেল এলাকা
- আপডেট সময় : ০৩:২৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৯ বার পড়া হয়েছে
পয়ঃনিষ্কাশন এবং কলকারখানার ব্যবহৃত কালো, পচা, ময়লা ও দুর্গন্ধময় পানিতে ১২ মাসই ডুবে থাকে রাজধানীর পূর্ব জুরাইন মুরাদপুর মেডিকেল এলাকা। বৃষ্টি হলেই সড়কে কোমর পানি জমে পড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এলাকার মানুষের জনজীবন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ১০ বছর ধরেও ডিএনসিসির ৫২ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তা ও ড্রেন সংস্কার না হওয়ায় এখানকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে না। এদিকে রাস্তা সংস্কারের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ মীর হোসেন মীরু।
রাজধানী ঢাকার পূর্ব জুরাইন ডায়াবেটিক হাসপাতাল থেকে মুরাদপুর আলেক চাঁন বেপারি জামে মসজিদ হয়ে পোকার বাজার সংলগ্ন হাইস্কুল রোড পর্যন্ত মুরাদপুর মেডিকেল ও রজ্জব আলী সর্দার সড়ক। ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫২ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত এ সড়কটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন। সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই সড়কে জমা কাদা-পানির সাথে পয়ঃবর্জ্যসহ ময়লা আবর্জনা মাড়িয়ে চলতে হয় এলাকার অধিবাসীদের। জোয়ার-ভাটার মতো দিন-রাত ডুবে থাকায় উঠে গেছে সড়কের সব আস্তরণ। এতে বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে লাখো মানুষ।
সড়কটির দু’ধারে ডায়াবেটিক হাসপাতাল, মুরাদপুর সমীরণনেসা উচ্চ বিদ্যালয়, গেটওয়ে মডেল স্কুলসহ ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ডুবন্ত খানাখন্দে ভরা সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিদিনই ঘটে অসংখ্য দুর্ঘটনা। সড়ক ছাপিয়ে দু’পাশের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ির ভেতরেও ময়লা পানি ছড়িয়ে পড়ছে।
১২ মাসই জোয়ার-ভাটার মতো এ রাস্তা বাসাবাড়ির পয়োবর্জ্যে ভরে থাকে জানিয়ে স্থানীয়রা বললেন, শীতকালেও এলাকার অলিগলিতে থাকে জলাবদ্ধতা।
ডায়াবেটিক হাসপাতালের চিকিৎসক এবং রোগীরাও আছেন বিপাকে। ভাঙা রাস্তায় প্রতিদিন আহতও হচ্ছেন অনেকে। ভোগান্তির কথা জানিয়ে দ্রুত এই সড়ক মেরামতের দাবি জানালেন তারা।
সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের চিত্র সামনে নিয়ে যে এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন কাজ হচ্ছে না, সেখানে আগে বাজেট বরাদ্দ দেয়া উচিত বলে মনে করেন এই নগর পরিকল্পনাবিদ।
ভোগান্তির কথা স্বীকার করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীরু জানান, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এতদিন রাস্তাটির সংস্কার সম্ভব হয়নি। সংস্কারের টেণ্ডার ফাইল বর্তমানে মেয়রের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের মধ্যেই ড্রেনসহ সড়ক সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করার দাবী স্থানীয় জনগণের।