১২ শতাংশে থাকা প্রবৃদ্ধি বছর শেষে নেমেছে ৪ শতাংশে
- আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১৫৫৮ বার পড়া হয়েছে
বিদায়ী বছরের শেষ চার মাসে পাল্টে গেছে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের হিসেব নিকেশ। আগস্ট পর্যন্ত ১২ শতাংশের উপরে থাকা প্রবৃদ্ধি বছর শেষে নেমে এসেছে ৪ শতাংশে। আগের বছর করোনার মধ্যেও যা ছিল ৮ শতাংশের বেশি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিশ্বমন্দার মধ্যে এই পরিসংখ্যানে বেশি হতাশ নন তারা। ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারিরা বলছেন, ডলারের বিপরিতে টাকার অবমুল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় নীতির কারণে আমদানী-রপ্তানী দুইই কমেছে।
দেশের আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যের ৯২ ভাগই পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। তাই এই বন্দরের পরিসংখ্যানে স্পষ্ট হয় জাতীয় অর্থনীতির চালচিত্র।
বিদায়ী ২০২২ সালে এই বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে কন্টেইনার ওঠানামা করেছে ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪ টিউস। যা আগের বছর ছিল ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৮ টি। ফুটেজ-২ তবে খোলা পণ্যের পরিমাণ বেড়েছে কিছুটা। ২০২১ সালে বাল্ক কার্গো থেকে খোলা পণ্য খালাস হয় ১১ কোটি ৬৬ লাখ মেট্রিকটন। বিদায়ী বছর হয়েছে ১১ কোটি ৯৬ লাখ মেট্রিকটন।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিশ্বমন্দার বছরে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের পরিসংখ্যন কম মনে হলেও তুলনামুলক ভালো।
বন্দরের বাইরে শতভাগ রপ্তানী পণ্যের পাশাপাশি ৩৮ ধরনের আমদানী পণ্য হ্যান্ডলিং করে বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো বা অফডক কর্তৃপক্ষ। যেখানে ২০২২ সালের প্রথম ৮ মাসে আমদানী-রপ্তানীর উর্দ্ধমুখি প্রবৃদ্ধিতে ছন্দপতন ঘটেছে শেষ চার মাসে। সবচেয়ে বেশি কমেছে আমদানী। শতাংশের হিসেবে যা ২১ এর ঘরে।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার খরচ সংকোচন নীতিতে অটল থাকায় সহসা আমদানী বাড়ার সম্ভাবনা নেই। আর রপ্তানী পণ্যের অর্ডার পর্যালোচনায় সুখবর নেই আগামী তিন মাসে।
তবে সমুদ্রুগামী জাহাজ আসা-যাওয়ার পরিসংখ্যনে প্রবৃদ্ধি ছিল ইতিবাচক। ২০২১ সালে ৪ হাজার ২০৯ টি জাহাজ নোঙোর করে।২০২২ সালে সেই সংখ্যা ৪ হাজার ৩৬১টি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারণে বড় জাহাজ চলাচল কমে যাওয়ায় জাহাজের সংখ্যা বাড়লেও পণ্য পরিবহন কমেছে।