১৩ বছরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলবাসী
- আপডেট সময় : ০৬:৪০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
১৩ বছরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ঘূর্নিঝড় সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলবাসী। ২০০৭ সালের এই দিনে “ঘূর্ণিঝড় সিডর” আঘাত হানে দেশের দক্ষিনাঞ্চলে। বেশ কয়েকটি জেলাকে লন্ড-ভন্ড করার পাশাপাশি হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। এখনো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো সংস্কার হয়নি। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের কাজ চলছে। কিন্তু, নদী ভাঙ্গনের আতংক কাটছে না উপকূলবাসীর। নদী শাসনের জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুমোদন হলে ভাঙ্গনরোধে কাজ করা হবে। তবে, আশ্রয় কেন্দ্র বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
১৫ নভেম্বর ২০০৭। রাতে প্রচন্ড বেগে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে স্মরণকালের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সিডর। মাত্র আধা ঘন্টার তান্ডবে লন্ডভন্ড হয় পড়ে উপকূল। পানি ঢুকে মুহুর্তে পরিণত হয় অচেনা এক ধ্বংসস্তুপে। সরকারি হিসেব মতে বরগুনায় এক হাজার ৩৪৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছে এক’শ ৫৬ জন। তবে, বেসরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা প্রায় দু’হাজার, আহত ২৮ হাজার ৫০। ভয়াবহ দিনটির কথা ভেবে এখনও আতকে ওঠেন উপকূলবাসী।সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ মেরামতে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু, সুফল পায়না উপকূলবাসী।
তবে, স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানায়, সংস্থাটি। বেড়িবাঁধ ও পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানায়, জেলা প্রশাসন। এদিকে, সুপার সাইক্লোন সিডরের ১৩ বছর পরও নির্মান শেষ হয়নি বাগেরহাটে টেকসই বেড়িবাঁধের। বলেশ্বর নদীতে বাঁধ নির্মানের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।
বেড়িবাঁধের কাজ ইতিমধ্যে ৮০ ভাগ হয়েছে বলে জানায়, সংশ্লিষ্টরা। সিডরে বাগেরহাটে ৯০৮ জন মারা যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় জেলার অসংখ্য বাড়িঘর, গাছপালা ও রাস্তাঘাট। এছাড়া, পটুয়াখালীতেও মারা যায় ৬৭৭ জন। আহত হয় প্রায় সাড়ে আট হাজার। এদের মধ্যে দু’হাজার মানুষ হয়েছে প্রতিবন্ধী। এখনও নিখোঁজ রয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক। জেলার ভেঙে যাওয়া বেরিবাঁধের বেশিরভাগ এখনও অরক্ষিত। নির্মাণ হয়নি পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার।