১৪ বছর পর চালু হলেও ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতাল চলছে ধুকে ধুকে
- আপডেট সময় : ১২:১৮:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
- / ১৬১৯ বার পড়া হয়েছে
উদ্বোধনের ১৪ বছর পর চালু হলেও ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালটি চলছে ধুকে ধুকে। নেই ল্যাব, রয়েছে ওষুধ সংকটসহ জনবলের অভাব। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঝিনাইদহসহ আশপাশের উপজেলার শত শত মানুষ। দ্রুত এসব সংকট সমাধান করে হাসপাতালটি পুরোদমে চালু করার দাবী স্থানীয়দের।
২০০৫ সালের ৭ মে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের বাস টার্মিনাল এলাকায় ২৫ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। রাজনৈতিক বেড়াজালে আটকে বছরের পর পর বন্ধ থাকে হাসপাতালটি। নানা চড়ায় উতরায় পেরিয়ে ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি সীমিত পরিসরে চালু করা হয় হাসপাতালটি।
রোগী ও স্বজনরা জানায়, দীর্ঘদিন পর চালু হলেও নানা সংকট রয়েছে হাসপাতালটিতে। জনবল সংকটের পাশাপাশি সংকট রয়েছে ঔষধ সরবরাহের। দেশের একমাত্র সরকারি শিশু হাসপাতাল হওয়া স্বত্বেও নেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কোন ল্যাব। যে কারণে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরও বাড়তি টাকা খরচ করে প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিন্কি থেকে পরীক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি খরচ হচ্ছে বাড়তি টাকা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি বরাদ্দ কম থাকার কারণে স্থানীয় সহযোগিতায় চলছিলো অন্যান্যা কাজ। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, হাসপাতালে ল্যাব চালুসহ সংকট সমাধানের চেস্টা করছেন তারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে, ২৫ শয্যার শিশু হাসপাতালে বর্তমানে বর্হিবিভাগে প্রতিদিন আড়াই’শ থেকে তিন’শ ও আন্ত:বিভাগে ৬০ থেকে ৭০ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।