২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে পাচারের টাকা ফেরত আনার সুযোগ বুমেরাং হবে
- আপডেট সময় : ০১:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২
- / ১৬৯০ বার পড়া হয়েছে
অতীতে জাতীয় বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েও সুফল আসেনি। এবারের বাজেটে পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফেরত আনার সুযোগও ভবিষ্যতে বুমেরাং হবে। মাঝখানে টাকা পাচারের মতো এই ফৌজদারী অপরাধটি আইনি বৈধতা পাবে। বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদদের দাবি, এতে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও অসৎ ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবেন, অন্যদিকে হতাশ হবেন রাজস্ব দেয়া মানুষ। সোহাগ কুমার বিশ্বাসের প্রতিবেদন।
৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তোফা কামাল। আয় ব্যয়ের গতানুগতিক হিসেবের বাইরে পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। যা নিয়ে দেশজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।
এর আগে দীর্ঘদিন ধরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হতো জাতীয় বাজেটে। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে সেই সুযোগ গ্রহণ করেনি কেউ। পাচার করা টাকাও ফিরিয়ে আনার সুযোগ কেউ নেবে এমনটা বিশ্বাস করছেন না অর্থনীতিবিদরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মানুষের আয় বাড়লেও ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকার মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর। এই বাস্তবতায় টাকা পাচারকারীদের সুযোগ দিলে নিরুৎসাহিত হবে সাধারণ মানুষ।
দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠান টিআইবি বলছে, দেশের টাকা পাচার করা এতোদিন ফৌজদারী অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হতো। কিন্তু এই বাজেটের পর তা আর বেআইনি বলার সুযোগ থাকলো না।
বিরোধী রাজনৈতিকদলসহ সমালোচকরা এতোদিন অর্থপাচারের অভিযোগ করলেও, সরকার তা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে। কিন্তু বাজেটে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার সুযোগ দিয়ে, পরোক্ষভাবে এই অভিযোগ স্বীকার করা হয়েছে বলে মনে করের বিশ্লেষকরা।