২৪ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলেও চাপ নেই
- আপডেট সময় : ১১:৩২:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৬২৮ বার পড়া হয়েছে
২৪ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলেও চাপ নেই একবারেই। উঁচু এলাকাগুলোতে এখনো পৌছেনি গ্যাস। এতে ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গ্যাস না থাকায় আবাসিকে চুলা জ্বলছে না। জ্বালানী না পেয়ে সিএনজি চালিত গাড়ি রাস্তায় না থাকায় গণপরিবহনের তীব্র সংকট তৈরী হয়েছে। শিল্প খাতেও নেমেছে স্থবিরতা। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কর্ণফূলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, আজকের মধ্যে সব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হলেও প্রেসার স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে সে ব্যাপারে জানা নেই কারো।
চট্টগ্রামের লাভলেইন এলাকার চিত্র এটি। গ্যাসের অভাবে চুলা না জ্বলায় কেউ মাটির চুলায়, আবার কেউ ইট পেতে অস্থায়ী চুলা তৈরী করে রান্নার কাজে ব্যাস্ত। গত তিন দিন ধরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পুরো এলাকার চিত্রই এখন এমন।
সিএনজি স্টেশনগুলোর সামনে যানবাহনের এই দীর্ঘ লাইনও গেল তিন দিনের অভিন্ন দৃশ্য। গ্যাসের সরবরাহ না থাকায় যানবাহনগুলোতে গ্যাস দিতে পারছে না পাম্পগুলো। সকাল থেকে কোন কোন এলাকায় গ্যাস এলেও প্রেসার একেবারেই নেই। তিন দিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ক্ষুব্ধ যানবাহন চালকরা।
গ্যাসের এই সংকটে স্থবিরতা নেমেছে শিল্প খাতেও। ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা বলছেন, আগে জাতীয় গ্রীড থেকে গ্যাসের যোগান আসতো চট্টগ্রামে। ২০২১ সালের পর সবার অগোচরেই এলএনজি নির্ভর করে ফেলা হয়েছে বন্দর নগরীকে। প্রায়ই টেকনিক্যাল সমস্যার কথা বলে গ্যাসবিচ্ছিন্ন রাখা হয় চট্টগ্রামকে। এতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও উৎপাদন।
কর্ণফূলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, মহেশখালীর দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হয় চট্টগ্রামে। গেল নভেম্বর থেকে টার্মিনাল দুটিকে পর্যায়ক্রমে নিয়মিত মেইনটেনেন্সের জন্য পাঠানো হচ্ছে সিংগাপুরে। ফলে এখন একটি টার্মিনালের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার রাতে সচল টার্মিনালটিতেও ত্রুটি দেখা দেয়ায় একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় গ্যাসের যোগান। শুক্রবার রাতে ত্রুটি সারানো গেলেও পূর্ণ চাপে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে কবে– তা জানা নেই কারো।