৩৫ কোটি টাকার হাসপাতাল বুঝে নিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ
- আপডেট সময় : ১১:২০:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
- / ১৭১১ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীতে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে ৩৫ কোটি টাকার হাসপাতাল। নির্মাণের পর গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাছ থেকে নতুন ভবনটি এখন আর বুঝে নিচ্ছে না কেউ। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে তারা। তবে সিভিল সার্জন বলছেন, মন্ত্রণালয় এখনো জনবল অনুমোদন না দেয়ায় হাসপাতালটির দায়-দায়িত্ব নেয়া যাচ্ছে না।
রাজশাহীতে বিশেষায়িত এই শিশু হাসপাতাল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। ২০১৮ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে কয়েক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের শেষের দিকে নির্মাণকাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের ২৯ জানুয়ারি হাসপাতালটি উদ্বোধনও করা হয়। এরপরও থেকে পড়ে আছে।
প্রায় দুই বছর হতে চললো, কোনো কার্যক্রমই শুরু হয়নি এ হাসপাতালের। এমন কী আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাছ থেকে ভবনটি বুঝে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালটি কোন দপ্তরের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে, সে নির্দেশনা পাচ্ছেন না তারা। অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকায় নতুন এই ভবন থেকে নানা জিনিসপত্র যে যার মতো খুলে খুলে নিয়ে যাচ্ছে ।
এদিকে, নতুন এই ভবন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কর্তৃপক্ষও। সিভিল সার্জন জানান, হাসপাতালটির জন্য জনবল নিয়োগের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তা অনুমোদন হয়নি এখনো। তাই ভবনও বুঝে নেয়া যাচ্ছে না।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ কমাতে এ হাসপাতালটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০০ শয্যার এই শিশু হাসপাতালে রাখা হয়েছে ৫৬ শয্যার আইসিইউ বেডসহ সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধা।