৫ মিনিটের পথে ট্যাংক লরি থেকে গায়েব আড়াই’শ লিটার জেট-ফুয়েল
- আপডেট সময় : ০৫:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১৬৯৫ বার পড়া হয়েছে
পদ্মা অয়েল কোম্পানীর গুপ্তখাল ডিপো থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের দুরত্ব মাত্র দুই কিলোমিটার। মাত্র ৫ মিনিটের এই পথটুকু পাড়ি দিতেই প্রতিটি ট্যাংক লরি থেকে গায়েব হয়ে যায় কমপক্ষে আড়াই’শ লিটার জেট-ফুয়েল। গেলো ১১ অক্টোবর চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ধরা পড়লে, শুধু তদন্ত কমিটি করেই দায় এড়ান কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গুপ্তখাল ডিপো, এভিয়েশন এমনকি প্রধান কার্যালয়ের একটি সিন্ডিকেট সম্মিলিতভাবে বিপুল পরিমাণ এই তেল চুরির সাথে জড়িত। তবে এ নিয়ে পদ্মা অয়েলের তিনটি অফিসে ধর্ণা দিয়েও উর্ধতন কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য মেলেনি।
দেশি-বিদেশি ফ্লাইট অপারেটরদের কাছে এককভাবে জ্বালানী বিক্রি করে পদ্মা অয়েল কোম্পানী। প্রতিষ্ঠানটির পতেঙ্গা গুপ্তখাল ডিপো থেকে দেশের সব ক’টি বিমান বন্দরে ট্যাঙ্ক লরির মাধ্যমে নেয়া হয় আমদানী করা জেট ফুয়েল। শুধু চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরেই দৈনিক চাহিদা ৩ লাখ লিটার। যা পরিবহন করা হয় এভাবেই।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে পদ্মা এভিয়েশনের দুটি লড়ি থেকে আড়াইশো লিটার করে তেল কম পাওয়ার ঘটনায় শুরু হয় তোলপাড়। পদ্মা অয়েল কোম্পানীর গুপ্তখাল ডিপো থেকে দুই কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। গুপ্তখাল ডিপো থেকে বের হওয়া প্রতিটি লড়ি থেকেই চুরি হচ্ছে বিমানের মুল্যবান জ্বালানী। যার সত্যতা ধরা পড়ে এসএটিভির ক্যামেরায়।
গুপ্তখাল ডিপো, পদ্মা এভিয়েশন, পরিবহন ঠিকাদার এমনকি প্রধান কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার সিন্ডিকেট এই জেট ফুয়েল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকলেও, তার নেতৃত্ব দেন এভিয়েশনের ম্যানেজার সাইদুল হক ও এজিএম। যদিও এ ব্যপারে কথা বলতে রাজি হননি কেউ।
চুরির ঘটনাটি সামনে এলে এভিয়েশনের ডেপুটি ম্যানেজার শফিউল আজমকে বদলি করার পাশাপাশি দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করার কথা জানায় পদ্মা। কিন্তু তিন মাস কেটে গেলেও সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন কেউ চোখে দেখেনি। এরই মাঝে বদলি হওয়া সেই কর্মকর্তা পেয়েছেন পদোন্নতি। এতে ক্ষুব্ধ টিআইবি।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে একাধিকবার পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ে গেলেও, তিনি কথা বলেননি। সিকিউরিটি গার্ডের মোবাইলে এসএটিভির পরিচয় ও কারণ শুনে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন রেখে দেন।