ইতিহাস মুছে দিতে ৭ মার্চের ভাষণস্থলে পার্ক নির্মাণ: হাইকোর্ট

- আপডেট সময় : ০৭:৩৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৫৬১ বার পড়া হয়েছে
মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস মুছে দিতেই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণস্থলে শিশু পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট । উচ্চ আদালত জানায়, ইতিহাসের ধরাবাহিকতায় জাতীয় অনুপ্রেরণার ঐতিহাসিক ওই স্থানটিকে অনেক আগে থেকেই যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করা উচিত ছিলো। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিবেদন দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ স্থলে নির্মাণ করা হবে তর্জনী উত্তোলিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং স্থানটি যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পুরো দেশটাই যার পরিবার, প্রতিটি নাগরিক যার স্বজন, এমন ভাবনা যিনি ভাবেন, শুধুমাত্র তিনিই পারেন, একটি ভাষণের মাধ্যমে কালজয়ী ইতিহাস রচনা করতে, বঙ্গবন্ধু’র ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ তেমনই দৃষ্টান্ত।
দু:খজনক হলেও সত্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক সেই স্থানটিতে নির্মাণ করে এই শিশু পার্ক। বর্তমানে পার্কটিতে উন্নয়নে কাজ চলমান রয়েছে।
এমন বাস্তবতায় ৭ মার্চের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সংরক্ষণে রুল জারি করে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সেই রুলের শুনানিতে উচ্চ আদালতে প্রতিবেদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রতিবেদনে জানানো হয়, আদালতের নির্দেশনা মেনেই ৭ মার্চের ভাষণ স্থলের মঞ্চের পুন:নির্মাণ এবং তর্জনী উচিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণ করা হবে। ৭ই মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে। সরকারের এই প্রতিবেদনের পর ১৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের দিন ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
৭ মার্চের ভাষণস্থলে শিশুপার্ক নির্মাণের বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ।
ঐতিহাসিক সেই ভাষণকে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিলেও নিজ দেশেই স্বীকৃতির এই অপেক্ষা হতাশজনক বলেও মন্তব্য করে উচ্চ আদালত।