নিষেধাজ্ঞার ১২ দিনে শতাধিক শিশুসহ ৯শ’ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ
- আপডেট সময় : ০২:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৬৬৮ বার পড়া হয়েছে
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞার গেলো ১২ দিনে শতাধিক শিশুসহ ৯শ’ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ ও সমন্বিত ট্রাস্ক ফোর্স। অভিযানের সময় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মারা যান এক জেলে। এছাড়া পুলিশ ও জেলেদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। অভিযান সফল হলে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, প্রত্যাশা মৎস্য বিভাগের।
প্রতি বছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে ইলিশের ডিম ছাড়ার সময় হয়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পদ্মা-মেঘনা নদীতে ছুটে আসে। এমন বিবেচনায় নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরও ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা। তবে নিষেধাজ্ঞা সময়ে দেয়া খাদ্য সহায়তা কোন কাজে আসছে না বলে জানান জেলেরা।
নৌ-পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলে ছয়টি ইউনিট। গেলো ১২ দিনে নৌ-পুলিশের অভিযানে ২৬২ টি নৌ-যান ও ২১ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার ৮২০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেছে। ওইসময় ৭’শ ২৭ জন জেলেকে আটক করে। যার মধ্যে ১১০টি মামলায় ৩৭৩ জনকে পাটানো হয় করাগারে। ৩০ টি মোবাইল কোর্টে ২৪৮ জনকে সাজা ও বয়স কম হওয়ায় ১২০ জনকে মুচলেকা দিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, জেলা মৎস্য বিভাগ ১২ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ২৫৭ টি অভিযানে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৯০ টি মামলা করে। এসব মামলায় ১৭২ জন জেলেকে ৪৩টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা ও অর্থদন্ড করেন। জেলেদের ২৫ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান মৎস্য বিভাগের এই কর্মকর্তা।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ৪৩ হাজার ৭৭২ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। সরকারের এই আদেশ অমান্য করে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দন্ডের বিধান রেখেছে।